Fri. Apr 26th, 2024

২০১৯ সালের এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি যুদ্ধে মেধাতালিকায় ৪র্থ স্থান দখল করে গোপালগঞ্জবাসীর মনে গর্ব এনে দিলো লতিফপুর ইউনিয়নের শহীদ আব্দুল লতিফ (যার নামের সাথে জড়িয়ে আছে লতিফপুর ইউনিয়ন পরিষদের নাম), শহীদ আব্দুল হাই, শহীদ আসাদ শেখ, বীর মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম আলী শেখ ও শহীদ মনি মিয়ার যোগ্য উত্তরসূরী তাসফিয়া মাছুমা।

গত ১৫ অক্টোবর (মঙ্গলবার) প্রকাশিত এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি যুদ্ধে ৪র্থ স্থান  বিজয়ী তাসফিয়া মাছুমা – একটি সফলতার গল্পের শিরোনাম – পরিবার, গ্রাম, ইউনিয়ন, উপজেলার গন্ডি পেরিয়ে পুরো গোপালগঞ্জের গর্ব – যার শরীরে বহমান মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের রক্ত।

৬৯ হাজার ৪০৫ জন প্রতিযোগির ভর্তি যুদ্ধে ৪র্থ স্থান বিজয়ী গোপালগঞ্জের তাসফিয়া, গোপালগঞ্জের আমজনতা বেজায় খুশি, বিশেষ করে তাসফিয়ার পরের প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা উৎসাহিত হবে, অনুপ্রেরণা পাবে  – এমনটাই মনে করছেন গোপালগঞ্জে শিক্ষানুরাগী মহল।

প্রসঙ্গত, গত ১১ অক্টোবর সারাদেশে একযোগে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় সরকারি-বেসরকারি মেডিকেলে ১০ হাজার ৪০৪ আসনের বিপরীতে অংশ নেন ৬৯ হাজার ৪০৫ শিক্ষার্থী।

তাসফিয়া মাছুমা গোপালগঞ্জ সদর উপজেলাধীন লতিফপুর ইউনিয়নের ঘোষেরচর গ্রামের প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান আয়ুব এর ছোট মেয়ে। তাসফিয়া ঢাকা রাজউক কলেজ থেকে এসএসসি ও ঢাকার হলিক্রস কলেজ থেকে জিপিএ – ৫ পেয়ে কৃতিত্বের সাথে এইচএসসিতে  উত্তির্ন হয়।

তাসফিয়া মাছুমা

তাসফিয়ার এই অর্জন সম্পর্কে তার চাচা ব্যবসায়ী ও আওয়ামীলীগ নেতা মাহফুজুর রহমান এই প্রতিবেদককে বলেন, মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় ৪র্থ দখল করে তাসফিয়া গোপালগঞ্জের গর্ব এনে দিয়েছে। এই অর্জনে তারই কৃতিত্ব বেশি। কারণ, সে খুব কম সময় গোপালগঞ্জে থেকেছে। অত্যন্ত মেধাবী শিক্ষার্থী তাসফিয়া। তাসফিয়ার এই সাফল্যে আনন্দের বন্যা বইছে তার পরিবারে।

তিনি আরো বলেন, তাসফিয়া পরিবার পড়াশুনামুখী পরিবার। তার বড়বোন  খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছে। বাবা একজন প্রকৌশলী, বর্তমানে প্রবাসে আছেন। তাসফিয়ার মা একদিকে ঘর সামলান, অন্যদিকে সন্তানদেরকে যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে পরিশ্রম করছেন দিনরাত।

৬৯ হাজার ৪০৫ জনের মধ্যে ৪র্থ, এ প্রসঙ্গে তাসফিয়া বলেন, এর চেয়ে বড় খুশির সংবাদ আর কিছুই হতে পারে না। চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করার সুযোগ পাবো, এর চেয়ে খুশির খবর আর হতেই পারে না।

ভালো চিকিৎসব হওয়ার আগে ভালো ও মানবিক মানুষ হয়ে দেশ সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে চান তাসফিয়া।

এ প্রসঙ্গে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাদিকুর রহমান খান তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন,তাসফিয়ার এই সাফল্যে আমিও অনেক খুশি, সে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মেয়ে, তাসফিয়ার জন্য অনেক শুভ কামনা, পাশাপাশি গোপালগঞ্জের স্কুল, কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের জন্য প্রেরণার উৎস হোক তাসফিয়া, সেই প্রত্যাশা করি।

মিজানুর রহমান মানিক,

গোপালগঞ্জ

১৯.১০.১৯

Leave a Reply

Your email address will not be published.