Thu. Apr 25th, 2024

Late learn networking system

দৈনন্দিন জীবনে আমরা নেটওয়ার্ক কথাটি নানা ভাবে পেয়ে থাকি। সহজ বাংলায় নেটওয়ার্ক মানে সদামাঠা ভাবে বুঝি একসাথে যুক্ত থাকা। একে অপরেরর সাথে যুক্ত থাকাটাই হলো নেটওয়ার্কে থাকা। আমরা যারা প্রযুক্তির সাথে জড়িত অথবা প্রযুক্তি প্রেমিক তাদের চিন্তাতে নেটওয়ার্কের একটু ফারাকতো আছেই তবে বিস্তর নয়। নেটওয়ার্ক বিশেষজ্ঞ জনাব সুহৃদ সরকারেরর ভাষায়, ‍”নেটওয়ার্ক হলো এমন সিষ্টেম যেখানে সবাই মিলে তথ্য শেয়ার করা যায় বা একসাথে কাজ করা যায়। “

নেটওয়ার্ক গঠনের জন্য নুন্যতম ২টি কম্পিউটার দরকার পড়ে। একটি কম্পিউটার যখন এক বা একাধিক কম্পিউটারের সাথে যুক্ত হয়ে তথ্য আদান প্রদান করে তখন বলা হয় সেই কম্পিউটারটি নেটওয়ার্কের অংশ। কম্পিউটার গুলি একে অপরের সথে যুক্ত হবার জন্য বিশেষ ধরণের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে এবং দুটি নুন্যতম কম্পিউটারে যেমন কাজ করার জন্য আলাদা আলাদা অপারেটিং সিষ্টেম থাকে কিন্তু নেটওয়ার্কে যুক্ত হবার বেলাতে আলাদা নয় বরং নির্দিষ্ট নিয়ম কানুন মেনে কিছু বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করেই যোগাযোগ রক্ষা করে একে অপরেরর সাথে।

আমাদের প্রতিদিনের কাজগুলিকে সহজ করার জন্যই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হয়ে থাকে। দুটি কম্পিউটারকে যখন নেটওয়ার্কে নিয়ে আশা হয় তখন আমাদের প্রধান যে সুবিধা গুলি পাই তা হলো তথ্য এবং হার্ডওয়ার একে অপরের ব্যবহার করতে পারা। যদি তথ্য শেয়ার করা থাকে এক কম্পিউটারে রাখা ডাটা বা তথ্য অন্য কম্পিউটার থেকে দেখো যেতে পারে আবার এক কম্পিউটারের সাথে যুক্ত বিভিন্ন ডিভাইস যেমন প্রিন্টার, সিডি/ডিভিডি রম, রাইটার, স্ক্যানার, মেডেম, হার্ডডিস্ক স্পেস সহ নানাবিধ উপকরণ একে অপরের সাথে বিনিময় বা শেয়ার করা যায়। এই নেটওয়র্কে একজন প্রেরক এবং অপর জন হয় প্রাপক কিছুটা ডাকবিভাগের মত।

যে কম্পিউটার তথ্য পাঠাবে সে হচ্ছে প্রেরক এবং যে গ্রহণ করবে সে হচ্ছে গ্রাহক। একই নেটওয়ার্কে আসতে হলে অবশ্যই একটা মাধ্যমের প্রয়োজন হয় এবং এক্ষেত্রে অন্য মাধ্যম থাকলেও বর্তমান সময়ে তার বা ক্যবলকেই বেশি ব্যবহার করা হয়। তবে সব সময় একই ধরনের তার ব্যবহার হয় না এটি বিভিন্ন প্রকৃতির হয়ে থাকে এবং এর ব্যবহার পদ্ধতিও ভিন্ন হয়ে থাকে। বহুল ব্যবহৃত ক্যাবল গুলির মধ্যে রয়েছে, তামার তার, কাচ, প্লাষ্টিক ইত্যাদি। বর্তমানে বাতাস কে মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করেও নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়া যায়। যখন একটি নেটওয়ার্ক এক বা একাধিক নেটওয়ার্কের সাথে সংযোগ গড়তে পারে তখন তাকে বলে ইন্টারনেটওয়ার্ক আর পদ্ধতিটি ইন্টারনেটওয়াকিং নামে পরিচিত।

কম্পিউটার হোষ্ট ডিভাইস হিসাবে যে কোন ডিভাইস ব্যবহৃত হতে পারে যা নেটওয়ার্কে প্রবেশ করতে পারে। এর মধ্যে আছে সার্ভার, ওয়ার্ক ষ্টেশন, পার্সনাল কম্পিউটার, স্মার্ট ফোন, ল্যাপটপ, ইত্যাদি। নেটওয়ার্ক ডিভাইস হলো এমন ডিভাইস যা কম্পিউটার হোস্ট সমূহের মধ্যে সংযোগকারী হিসাবে থাকে। এর মধ্যে আছে সুইচ, রাউটার, হাব, পিপিটার ও ফায়ারওয়াল। হোস্ট ডিভাইসমমূহের মধ্যে কম্যুনিকেশন নিয়ন্ত্রণ ও অপটিমাইস করে থাকে এসব নেটওয়ার্ক ডিভাইস।

কাজ ও গঠন অনুসারে নেটওয়ার্ক মূলত ৩ শ্রেনীতে বিভাজন করা হয়ে থাকে।
১. লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক
২. মেট্রোপলিট্যান এরিয়া নেটওয়ার্ক
৩. ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক

চলমান………….