গোপালগঞ্জে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা
“বিজ্ঞানকে আমরা ভাববো আমাদের প্রয়োজন মেটানোর জন্য”

গোপালগঞ্জে সপ্তাহব্যাপী ৪১তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যাদুঘরের তত্ত্বাবধানে এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় সদর উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে সপ্তাহব্যাপী ৪১ তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন করেন গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাদিকুর রহমান খানের সভাপতিত্বে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নিরুন্নাহার ইউসুফ উপস্থিত ছিলেন।

সপ্তাহব্যাপী জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মেলার গুরুত্ব, প্রেক্ষাপট সম্বলিত স্বাগত বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম মোরশেদ। মেলায় উচ্চ মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের মোট ১২ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অংশ গ্রহণ করে।
গোপালগঞ্জের ক্ষুদে বিজ্ঞানীরা বায়বীয় ইঞ্জিন, জলবিদ্যুৎ, ইলেকট্রিক হার্ডওয়ার ফিউজ ও হার্ডওয়ার ড্রেন সিগনাল, ফ্রি এনার্জি প্রভৃতি সৃষ্টি কর্ম উপস্থাপনা করেন।
শেখ ফজিলাতুন্নেছা সরকারি মহিলা মহাবিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণি, বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জুহি বৈদ্য তার প্রতিক্রিয়ার বলেন, খুব ভালো লাগছে, এ ধরণের আয়োজন আমাদের অনুশীলনে প্রাণ আনবে এবং গতি বাড়াবে।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি গোপালগঞ্জের জেলাপ্রশাসক শাহিদা সুলতানা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বিজ্ঞানকে আমরা ভাববো আমাদের প্রয়োজন মেটানোর জন্য, প্রথমে ঠিক করতে হবে, আমাদের সমস্যাটা কোথায়? যে কাজ একজন করে গেছে, সেটা নিয়ে ভাবার দরকার নেই, নতুন কিছু নিয়ে ভাবতে হবে, বিজ্ঞানকে আমরা দেখবো ইনোভেশনের দৃষ্টিতে।
শিক্ষা প্রশাসন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের সাইন্স ল্যাব থেকে এখন আর রিএজেন্টের ঘ্রাণ পাওয়া যায় না, তার মানে অনুশীলন নেই। আমাদের মাঝেরপ্ রজন্ম কিছুই শিখতে পারেনি। তারা মুক্তিযুদ্ধ জানতে পারেনি, দেশ সম্পর্কে জানতে পারেনি, বিজ্ঞান সম্পর্কে জানতে পারেনি। এজন্য, প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইনকিউবেশন ল্যাব তৈরী করতে হবে, নিয়মিত অনুশীলন নিশ্চিত করতে হবে। বিজ্ঞান নিয়ে যে ভাবতে চায়, তাকে সহযোগিতা করতে হবে, তার সামনে যাওয়ার পথকে সুগম করে দিতে হবে, এ দায়িত্ব আমাদের সকলের।#
মিজানুর রহমান মানিক
২১.০১.২০