
গোপালগঞ্জে শিক্ষার্থীকে ভুল ইনজেকশন পুশ করার অভিযোগে ডাক্তার ও নার্সকে জেল হাজতে পাঠানের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অভিযুক্ত ডাক্তার তপন কুমার মন্ডল ও নার্স কুহেলিকা আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে বিজ্ঞ আদালত তাদের জামিন আবেদন বাতিল করেন। উচ্চ আদালত থেকে নেয়া জামিনের সময় শেষ হওয়ায় রোববার গোপালগঞ্জ সদর আমলী আদালতের বিচারক মো. হুমায়ুন কবীর তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। অন্য অভিযুক্ত নার্স শাহনাজ পারভিন আদালতে হাজির হননি।

অভিযুক্ত চিকিৎসক ও দুই নার্স এর আগে হাইকোর্ট থেকে ৮ সপ্তাহের জামিন নেন। জামিনের সময় শেষ হওয়ায় ডাক্তার তপন ও নার্স কুহেলিকা নিম্ন আদালতে হাজির হলে আদালত তাদের জামিন বাতিল করে।
প্রসঙ্গত, গত ২০ মে পিত্তথলির পাথর জনিত সমস্যা নিয়ে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্রী মরিয়ম সুলতানা মুন্নি। ২১মে সকালে অপারেশন করার আগে কর্তব্যরত নার্স ভুল করে অতি মাত্রায় চেতনানাশক ইনজেকশন পুশ করেন। তারপরই অজ্ঞান হয়ে পড়েন ওই ছাত্রী। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা ও পরে অবস্থার কোন উন্নতি না হওয়ায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখনও পর্যন্ত জ্ঞান ফেরেনি মুন্নির। ঘটনার দিনই মুন্নির চাচা জাকির হোসেন বিশ্বাস বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
মিজানুর রহমান মানিক
০৭.০৭.১৯