
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলাধীন গোবরা ইউনিয়নের সর্ববৃহৎ জনপদ চরগোবরার নদী ভাঙ্গন থামছেনা, প্রায় ২ কিমি এলাকা জুড়ে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে বসতবাড়ি ও জমি, গত কয়েকদিনে ১৫/১৬ একর জমি সহ প্রায় ২০/২২ টি পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে সর্বনাশা মধুমতী নদীর ভাঙ্গনে।
চরগোবরার নদী ভাঙ্গন প্রসঙ্গে গোবরা ইউপি চেয়ারম্যান সফিকুর রহমান চৌধূরী তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আমি প্রায় পনেরো দিন আগে নদী ভাঙ্গনের বিষয়টি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাদিকুর রহমান খান স্যারের নজরে আনলে তিনি আন্তরিকতার সাথে গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসক স্যারের সাথে যোগাযোগ করেন, কিন্তু দু:খের বিষয় হলো, দৃশ্যমান কোনো কার্যক্রম এলাকাবাসী এখনো দেখছেনা, আমি কয়েকবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করেছি, শুধু আশ্বাসই পাচ্ছি, কিন্তু ভাঙ্গন প্রতিরোধের জন্য তাৎক্ষনিক কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
তিনি আরো বলেন, নদী ভাঙ্গন কিছুতেই থামছেনা, এখন দরকার জরূরীভিত্তিতে তাৎক্ষনিক ভাবে ভাঙ্গন ঠেকানো, অথচ কাজ আটকে আছে মাপামাপি আর ফাইল চালাচালির মধ্যে।

উল্লেখ্য, প্রায় দিন পনেরো আগে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাদিকুর রহমান খান এবং গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মীর শাহিনুর রহমান চরগোবরার ভাঙ্গন কবলিত এলাকাটি পরিদর্শন করেছিলেন।
এ বিষয়ে গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ বৈদ্য বলেন, চরগোবরার নদী ভাঙ্গন ঠেকাতে দুই এক দিনের মধ্যেই আমরা জরুরীভিত্তিতে কাজ শুরু করবো, পাশাপাশি স্থায়ীভাবে ভাঙ্গন প্রতিরোধের জন্য প্রকল্পভিত্তিক কাজের পরিকল্পনা চলছে, ইতিমধ্যে সার্ভের কাজ শুরু হয়েছে।
নদী ভাঙ্গন সংশ্লিষ্ট এলাকার সচেতন মহল ধারণা করছেন, নদী ভাঙ্গনের নির্মম এ খেলা চলতে থাকলে ঢাকা – খুলনা মহাসড়কের চরগোবরা এলাকার অংশ ঝুঁকিতে পড়ে যাবে অথবা নদীগর্ভে তলিয়ে যাবে, নদী ভাঙ্গনের ব্যাপকতা বৃদ্ধি পেয়ে কৃষি জমি, মানুষের ঘরবাড়ি ইত্যাদি নদীতে বিলীন হবে। ফলে পরিবেশগত ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে এবং সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্তত দু’টি মন্দির নদীর স্রোতে হারিয়ে যাবে। তাই এখন একটাই পথ, যেকোনো মূল্যে নদীর ভাঙ্গন ঠেকানো, আর এজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রæত হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
মিজানুর রহমান মানিক
২৯.১০.১৯